কাটা হয়েছে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথার সেলাই
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের মাথার সেলাইও কাটা হয়েছে। এর আগে তাঁর মুখের সেলাই খোলা হয়।
মেডিকেল বোর্ড আজ শনিবার সকালে ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা শেষে তাঁর মাথার সেলাই কাটার সিদ্ধান্ত দেয়।
বোর্ড জানিয়েছে, ওয়াহিদার শরীরের অবশ হওয়া ডান অংশের উন্নতি হয়েছে। তিনি অবশ হওয়া ডান হাত নিজে নিজে নাড়াতে পারছেন। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান জাহেদ হোসেন জানিয়েছেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানম এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে শনিবার সকালে ওয়াহিদা খানমের পরিস্থিতি সম্পর্কে ডাক্তার জাহেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাঁর অবস্থা আগের তুলনায় কিছুটা ভালো। ডান হাতের কনুই পর্যন্ত নাড়াতে পারছেন; সলিড খাবার খেতে পারছেন। তবে কেবিনে নেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
গত ২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত আড়াইটার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনওর বাসার নাইটগার্ডকে বেঁধে রেখে পেছন দিকের ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং ইউএনও ওয়াহিদা ও তাঁর বাবা ওমরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে তাঁরা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরে ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান আসামিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।