কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৭

Looks like you've blocked notifications!
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় আজ বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কাভার্ডভ্যান ও অ্যাম্বুলেন্স। ছবি : এনটিভি

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়িয়েছে।

আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের আঁটিপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল আহসান।

নিহতরা হলেন ঝালকাঠী সদর উপজেলার বাউকাঠী এলাকার আরিফ হোসেন (৪০), তাঁর মা কোহিনুর বেগম (৬০), আরিফের স্ত্রী শিউলি বেগম (৩৫), সদ্যজাত শিশু তামান্না (তিন দিন), আরিফের ভাই মো. কাইয়ুম (৩৮) এবং অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো. আলমগীর হোসেন (৩৮)। এ ছাড়া আরো এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হলেও তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অ্যাম্বুলেন্স চালকের সহকারী ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা থেকে রোগী এবং তাঁর স্বজনদের নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ঝালকাঠি যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা গাজী রাইস মিলসের একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় কাভার্ডভ্যানের পেছনে থাকা এম এম পরিবহনের অপর একটি যাত্রীবাহী বাস কাভার্ডভ্যানের উপর আছড়ে পড়লে এটি ত্রিমুখি সংঘর্ষের রূপ নেয়।

উজিরপুর মডেল থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আমরা মোট সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী। এদের মধ্যে সদ্যপ্রসূত এক শিশুর লাশও রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে পাওয়া একটি কাগজ অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে একজন ঢাকার উত্তরার সিনিসিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি একটি সন্তানের জন্ম দেন। অ্যাম্বুলেন্সে যে নবজাতকের লাশ পাওয়া গেছে তার শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে যে হাসপাতালে থাকাবস্থায় শিশুটি মারা গেছে। নবজাতকের লাশ নিয়ে ফেরার সময় অ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনায় পড়ে।

ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুর্ঘটনার পর দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স কেটে লাশগুলো বের করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন নবজাতক শিশু, দুজন নারী এবং চারজন পুরুষ রয়েছে। এদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার পর কার্ভাডভ্যানের চালক পালিয়ে যান বলে জানা গেছে। ঘটনার পর পরই জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।