কারাগারে মুশতাকের মৃত্যু : স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তদন্ত করবে

Looks like you've blocked notifications!
লেখক মুশতাক আহমেদ। ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।  

আজ শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব মো. মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব তরুণ কান্তি শিকদারকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী চার কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার। এ ছাড়া সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব আরিফ আহমদ কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।

কমিটির কার্যপরিধি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিল কি না, যদি থাকে তাহলে কমিটি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করবে। বন্দি কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিল কি না, যদি থাকে তাহলে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না। যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়ে থাকে, তাহলে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে হবে।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ‘গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতি মুশতাক আহমেদ (৫৩) সার্ডেন আন-কনশাসনেস (হঠাৎ অচেতন হওয়া) জনিত কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গভীর রাতে বন্দিকে মৃত ঘোষণা করেন।’

গত বছরের মে মাসে রমনা থানায় মুশতাক আহমেদসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে র‍্যাব ডিজিটাল আইনে তিনটি মামলা করে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ফেসবুক ব্যবহার করে মুক্তিযুদ্ধ, নভেল করোনাভাইরাস মহামারি সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র/সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অভিপ্রায়ে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়ানো, অস্থিরতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারার অভিযোগ আনা হয়।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুশতাক আহমেদ। এ সময় তাঁকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনা তদন্তে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম ওই কমিটি গঠন করেন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াশিজ্জামান চৌধুরী ও উম্মে হাবিবা ফারজানা।