কারাদণ্ডের পরিবর্তে তিন আসামিকে ভালো ব্যবহার ও গাছ রোপণের রায়

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ফাইল ছবি

দেওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদ দেওয়ান ছিদ্দিককে হুমকি দেওয়ার মামলায় তিন আসামিকে ভালো ব্যবহার ও বৃক্ষরোপণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মাহমুদা আক্তার এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা হলেন—দেওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেডের অপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুয়েল হোসেন দেওয়ান, মানিক হোসেন দেওয়ান ও মুজাহিদুল ইসলাম।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আজাদ রহমান এনটিভি অনলাইনকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন- আসামিদের ছয় মাস প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। এ সময় আসামিরা কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়াবেন না বা একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না। তাঁরা শান্তি বজায় রাখবেন ও ভালো ব্যবহার করবেন। তাঁদের মধ্যে বিদ্যমান বিরোধ আপস-মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবেন। আদালত ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন। প্রবেশনকালে আসামিরা ১০টি গাছ (পাঁচটি বনজ ও পাঁচটি ফলদ) রোপণ করবেন।

পিপি বলেন, প্রবেশনকালে আসামিরা এসব শর্ত ভঙ্গ করলে বা তাদের আচরণ সন্তোষজনক না হলে প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক। তখন তাদের ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। তিনি রায়ে আরও বলেন, সাক্ষ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত আলোচনার জের ধরে বাদী ও আসামি জুয়েল হোসেন দেওয়ানের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে বাদীর হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়। আসামিরা চিৎকার চেঁচামেচি করে ও বাদীকে ভয় দেখায়।

নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৬ জুন ভয় দেখানো ও মোবাইল ফোন ভাঙার অভিযোগে দেওয়ান প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদ দেওয়ান ছিদ্দিক কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। মামলার তদন্ত শেষে উপপরিদর্শক (এসআই) হোসনা আফরোজ একই বছরের ১৮ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে নন প্রসিকিউশন মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন।