কার্টুনিস্ট কিশোরকে নির্যাতনের প্রমাণ পায়নি পিবিআই

Looks like you've blocked notifications!
কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। ফাইল ছবি

কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের করা হেফাজতে নিবারণ আইনের মামলায় নির্যাতনের কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা-পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এই প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) তাপস কুমার পাল এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৪ মার্চ আটকের পর নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগ এই মামলার আবেদন করেছিলেন কার্টুনিস্ট কিশোর। এতে তিনি অভিযোগ করেন, নির্যাতনে তাঁর কানের পর্দা ফেটে গেছে। আদালত সেদিন তাঁর জবাবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য আজকের দিন রেখেছিলেন। এদিকে গতকাল কিশোরের ডান কানে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। সেখানে একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে। এই যন্ত্র তাঁকে ভালভাবে শুনতে সাহায্য করবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

নথি থেকে জানা গেছে, গত বছরের ৫ মে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ পেজের অ্যাডমিন সায়ের জুলকারনাইন, কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও কারা হেফাজতে মৃত লেখক মুশতাক আহমেদ। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামের ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুন্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।

সায়ের জুলকারনাইন সম্প্রতি আল জাজিরায় প্রচারিত তথ্যচিত্র ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’-এর ‘সামি’ বলে জানা গেছে। গত বছরের মে মাসে কিশোর, মুশতাক ও দিদারুলকে লালমাটিয়া ও কাকরাইলের নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। এর মধ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মারা যান মুশতাক। দিদারুল জামিনে আছেন।

গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কার্টুনিস্ট কিশোরের ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। পরের দিন ৪ মার্চ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বাসায় না ফিরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন।