কার্টুনিস্ট কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
আজ রোববার ঢাকার সিএমএম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) নিজাম উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
জিআরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আফসার আহমেদ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে' সুইডিশ-বাংলাদেশের সাংবাদিক নেত্র নিউজ সম্পাদক তাসনীম খলিল, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্লগার আশিক মোহাম্মদ ইমরান, মো. ওয়াহিদুন্নবী ও আল-জাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনের সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জিআরও বলেন, এদিকে কারাগারে থাকাবস্থায় লেখক মোস্তাক আহমেদ মারা যাওয়ায় এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় ও ফেসবুক আইডির ফিলিপ শুমাখার নাম-ঠিকানা না পাওযায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন (জিআর) শাখায় আরেকটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহসীন সর্দার। অভিযোগপত্রে তিনজনকে অভিযুক্ত ও আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাঁদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
সেই অভিযোগপত্রে রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া ও লেখক মুশতাক আহমেদকে শুধু আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, নেত্র নিউজের তাসনীম খলিল, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, জার্মানিতে থাকা ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন, সামিউল ইসলাম খান ওরফে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ ও ফিলিপ শুমাখারকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। এরপরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ উপস্থাপন করা হলে মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এরপরে পুলিশ নতুন করে তদন্ত করে সাতজনের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ আনে।
গত বছরের ৫ মে র্যাব-৩-এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামের ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।