কিশোরকে লাগাতার বলাৎকার, মাদ্রাসাশিক্ষক গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
বলাৎকারের অভিযোগে গ্রেপ্তার রাজধানীর মগবাজারের গ্রিনওয়ে দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মশিউর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

কিশোর ছাত্রকে (১৫) টানা বলাৎকারের অভিযোগে রাজধানীর মগবাজারের গ্রিনওয়ে দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকা থেকে মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রাতেই রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মাদ্রাসাছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ আজ মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। পরে মেডিকেল রিপোর্টেও বলাৎকারের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আসামির রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহার পর পর ভুক্তভোগী ছাত্রকে শিক্ষক মশিউর রহমান মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় নিজের কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে আসামি শরীর ব্যাথার অজুহাতে ভিকটিমকে দিয়ে ম্যাসাজ করান। এভাবে আসামি দিনে পাঁচ-ছয়বারও ভুক্তভোগীকে ম্যাসাজ করাতেন এবং শেষে যৌন নিপীড়ন করতেন। কিন্তু কিশোর ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারেনি। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় কিশোরকে যৌন নিপীড়ন করা হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, কাউকে কিছু না বলার জন্য আসামি ছাত্রকে প্রতিবারই ১০০ টাকা করে দিতেন কিছু কিনে খাওয়ার জন্য। এ সময় কিশোরের শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা হলে সে ওষুধও কিনে খায়। কিছুদিন পর সে বাড়িতে চলে যায়।  

কিন্তু কিশোর আর মাদ্রাসায় যেতে আগ্রহ বোধ করেনি বলে মামলায় অভিযোগ করেন তার মা। তিনি আরও বলেন, কেন সে মাদ্রাসায় যেতে চায় না এটা জানতে চাইলে সে ঘটনা খুলে বলে। এবং আবার তার ওপর নিপীড়িন চালানো হতে পারে বলেও ভয় পায়। তখনি মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কিশোরটির বাড়ি নোয়াখালীতে। তার মামা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর যাবত আমার ভাগনে ওই মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে পড়ে। কিন্তু বাড়ি আসার পর সে আর মাদ্রাসায় যেতে চায় না। মা জোর করলে সে পালিয়ে গ্রামে আমার বাড়িতে চলে আসে।’

মামা আরও বলেন, ‘আমি বুঝিয়ে-শুনিয়ে আবার ঢাকায় মাদ্রাসায় পাঠালে সে বাড়ি ফিরে আসে এবং মায়ের কাছে ওই শিক্ষকের হাতে বলাৎকারের বিষয়টি জানায়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’