কিশোরগঞ্জে ডেঙ্গু সচেতনতায় মাঠে নেমেছেন ক্রিকেটার আশরাফুল

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ও গ্যালারির টাইগার খ্যাত দর্শক শোয়েব। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম। আজ সোমবার ‘সুখী কিশোরগঞ্জ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ডেঙ্গু রোধে কিশোরগঞ্জ’ কর্মসূচির আয়োজন করে।

আশরাফুল আজ দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং কিশোরগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন।

সকালে মোহাম্মদ আশরাফুল জেলা শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় এবং এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পৃথকভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচারণা চালান। এ সময় তিনি সরকারি দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সচেতনতার পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন। পরে বিকেলে তিনি কিশোরগঞ্জ পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে প্রচুর মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকে মারাও যাচ্ছে। এজন্য আমাদের অবহেলাও একটি বড় কারণ। তাই বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে জমে থাকা পানি ও আবর্জনা নিজেদের উদ্যোগে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

সংগঠনের সমন্বয়কারী লুৎফুল্লাহ হোসাইন পাভেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গ্যালারির টাইগার খ্যাত দর্শক শোয়েব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ডেঙ্গুবিষয়ক পরামর্শক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান, এসভি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহনাজ কবীর, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. খালেকুল ইসলাম ববি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মাহমুদুর রহমান জনি, বিজ্ঞান একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম মনির এবং কর্মসূচির অন্যতম সমন্বয়কারী শহীদুল হক লাভলু।

সংগঠনের সমন্বয়কারী লুৎফুল্লাহ হোসাইন পাভেল বলেন, প্রচারপত্র নিয়ে পৌরসভা এবং শহরতলীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামাজিকভাবে সবার মধ্যে সতর্কতা তৈরির প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং হবে।

উল্লেখ্য, গত বছর কিশোরগঞ্জ শহরে ডেঙ্গু প্রতিরোধবিষয়ক এই কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিতে সংগঠনের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক শহরে এডিস মশার আবাসস্থল নিধন, ওষুধ ছিটানো ও আবর্জনা  পরিষ্কারের  পাশাপাশি ঘরে ঘরে সচেতনতাপত্র বিলি করেন।