কিশোরগঞ্জে পরকীয়ার জেরে মামিকে খুন, দুদিনেই চার্জশিট দাখিল

Looks like you've blocked notifications!
কিশোরগঞ্জে মামিকে হত্যার দায়ে গ্রেপ্তার মামুন। ছবি : সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জে ভাগনের হাতে মামি খুন মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ। আজ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। পুলিশের দাবি—পরকীয়ার জেরে মামিকে খুনের রহস্য উদঘাটন করে এই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় জেলা পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন খুনের রহস্য উদঘাটনের কথা জানান।

আল আমিন জানান, গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার হারুয়া এলাকায় গলা কেটে গৃহবধূ রোকসানা (৩৫) কে হত্যা করা হয়। মামির সাথে ভাগনে মামুনের (৩০) অবৈধ সম্পর্কের ফলেই ঘাতকের নিজ পরিবারের ভাঙন ও নানা টানাপোড়েনের কথা তদন্তে উঠে এসেছে৷ ঘাতক মামুন পূর্বপরিকল্পিতভাবে একাই নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে বলে মামলা তদন্তে সাক্ষ্য প্রমাণে প্রতীয়মান হয়েছে৷ এর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, রোকসানাকে হত্যার পরপরই হত্যাকাণ্ডে ছোরাসহ তাঁর স্বামী তাইজুলের ভাগনে মামুনকে আটক করা হয়। তাইজুল-রোকসানার পরিবারে দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। দীর্ঘদিন যাবত ভাগনে মামুন এবং তাইজুলের পরিবারের মাঝে পরকীয়ার সূত্র ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। শনিবার দুপুরে তাইজুলের স্ত্রী রান্না করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় মামুন ঘরে প্রবেশ করে মামির সঙ্গে কলহে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে মামুন তার মামিকে ধারাল ছোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় হত্যাকারী মামুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও ক্রিকেট খেলার ব্যাট উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। এ ছাড়া তেরিপট্টিতে অবস্থিত একটি দোকান থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু কেনার দৃশ্য সংবলিত সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিক্রেতার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়৷ ঘাতক মামুন পরিকল্পিতভাবে একাই নৃশংসভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মামলা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।