কিশোরগঞ্জে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচজন কারাগারে

কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলায় সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে শ্রী নিবাস বর্মণের বাড়িতে কালীপূজা উপলক্ষে নির্মিত অস্থায়ী মণ্ডপে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ভবানীপুর গ্রামের উত্তম বর্মণ (৩৫), পাপ্পু বর্মণ (২৬), ইরেন্দ্র বর্মণ (৪০), সুরুজ আলী (৪২) ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তাজুল ইসলাম শিপন (৩৫)।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মণ্ডপের কাছে গান উচ্চস্বরে বাজাচ্ছিলেন উত্তম বর্মণসহ অন্য আসামিরা। এ সময় নিবাস বর্মণ রাত বেশি হওয়ায় তাদের গান বন্ধ করতে বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে এক পর্যায়ে হামলা চালিয়ে কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় রাত ১টার দিকে থানায় মামলার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে। পরে নিকলী থেকে আসামিদের কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে আদালতে পাঠানো হয়।’
আদালতের পরিদর্শক (সিএসআই) হাবীবুর রহমান বলেন, ‘আজ দুপুরে আসামিদের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এসএম আনিসুল হকের এজলাসে নেওয়া হয়। সেখানে প্রধান আসামি উত্তম বর্মণ দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক শুনানির পর পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
প্রতিমা ভাঙচুরের খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আমিনুর রহমান মণ্ডপটি পরিদর্শন করেছেন।