কিশোরগঞ্জে ফুল দেওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বাসে আগুন

Looks like you've blocked notifications!
পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর সড়কে মরুরা এলাকায় অনন্যা পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি : এনটিভি

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় একটি যাত্রীবাহী বাসেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ নূর মোহাম্মদ ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় এক ঘণ্টা থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সোহরাব উদ্দিন দলীয় নেতাকর্মিদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিতে গিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সাংসদ নূর মোহাম্মদের সমর্থকদের মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাসের সেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

এ দিকে দুপুর ১২টার দিকে পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর সড়কে মরুরা এলাকায় অনন্যা পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এর আগেই বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সারোয়ার জাহান জানান, ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে। পুলিশ দুই রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে এবং লাঠিচার্জসহ ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।