কিশোরীকে আটকে রেখে ‘ধর্ষণ-দেহ ব্যবসা’, ভাইরালের হুমকি
ঝালকাঠি সদর উপজেলার ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে ওই কিশোরীকে।
এ ঘটনায় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কিশোরীর বাবা। এখনো কোনো মামলা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের থলপহরী গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সদস্য এমদাদুল হকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।
ঘটনার বিস্তারিত জানতে আজ শনিবার পুলিশ কিশোরীর বাড়িতে গেছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান। তিনি দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ফিরে এলে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তবে এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও সাবেক ইউপি সদস্য এমদাদুল হকের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, তাঁর পরিবার এলাকায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
কিশোরী জানায়, গত ১৫ নভেম্বর নিজের বাড়ি থেকে ফুপুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল সে। পথে এমদাদুল তাকে অপহরণ করে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় সংলগ্ন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা আরেক নারী ভিডিও করেন। পরে এমদাদুল তাকে আটকে রাখেন এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করেন।
একপর্যায়ে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এমাদুল ওই কিশোরীকে বরিশালের বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়া গ্রামে এক নারীর বাসায় নিয়ে আটকে রাখেন এবং সেখানেও তাকে ধর্ষণ করা হয়। সেখানে তাকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয় বলেও অভিযোগ করে ওই কিশোরী।
গত ৫ ডিসেম্বর কিশোরী সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে প্রথমে থানায় গিয়ে বিস্তারিত জানায় এবং বাড়িতে চলে যায়। এরপর থেকেই এমদাদুলের পরিবার মামলা না করার হুমকি দিচ্ছে বলে জানায় কিশোরীর পরিবার। তাদের অভিযোগ, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।