কুমিরের সাথে লড়াই করে যেভাবে প্রাণে বাঁচল অনার্স পড়ুয়া যুবক

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

সুন্দরবনের খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সাথে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে এলো অনার্স পড়ুয়া এক যুবক। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামলে একটি কুমির আক্রমণ করে ওই যুবককে। এরপর ধস্তাধস্তি ও চোখে আঙুল দিয়ে কুমিরটিকে দুর্বল করতে পেরে প্রাণে বেঁচে এসেছে যুবকটি।

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুল বারী জানান, সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে মঙ্গলবার দুপুরে গোসল করতে নামেন পূর্ব ঢাংমারী এলাকার খ্রিস্টান পাড়ার বাসিন্দা নজির হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার। বনের খালে গোসল করতে নামতেই একটি কুমির তার ওপর আক্রমণ করে। এ সময় কুমিরটি রাজুর ডান পায়ের হাঁটুর ওপরের দিকে কামড়ে ধরে। তখন রাজু কুমিরটির সাথে ধস্তাধস্তি করার এক পর্যায়ে কুমিরের চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। কুমিরের চোখে আঘাত করলে কুমিরটি রাজুর পায়ের কামড় ছেড়ে দেয়। তখন সে দ্রুত ওপরে উঠে আসে। আর কুমিরটি খালে ডুব দিয়ে চলে যায়।

তিনি বলেন, কুমিরের কামড়ে রাজুর পায়ের ক্ষত জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে এখন সুস্থ ও বাড়িতে আছে। ঘটনার সময় খালে ভাটা থাকায় পানি কম ছিল। ভরা জোয়ার থাকলে কুমির কামড়ে ধরে পানির গভীরে নিয়ে গেলে বাঁচার কোনো সম্ভাবনাই থাকত না।

তিনি আরও বলেন, পূর্ব সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তা ইউনিয়নের পূর্ব ঢাংমারী এলাকার খ্রিস্টানপাড়ার বাসিন্দা নজির হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার খুলনার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্স পড়ে। তাদের বাড়িটি পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী খালের পাশেই। বাড়িতে আসার পর রাজুকে খালে নেমে গোসল করতে নিষেধ করে তার পরিবার। তারপরও সে নিষেধ না মেনে খালে গোসল করতে নামলেই এ ঘটনা ঘটে।

বন কর্মকর্তা মো. সাইফুল বারী আরও বলেন, ঢাংমারী খালে প্রায় সব সময়ই বড় দুটি কুমির দেখা যায়। তাই বন বিভাগের পক্ষ থেকে খালের পাড়ের আশপাশের মানুষদেরকে খালে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে প্রতিনিয়তই। তারপরও তারা তা না শুনে খালে গোসল ও মাছ ধরতে নামেন। যার ফলে মাঝে মধ্যেই এমন দুর্ঘটনার শিকার হন এখানকার মানুষ।