করোনাভাইরাস আতঙ্ককে পুঁজি করে নিত্যপণ্যের মজুদ ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বিভিন্নভাবে বাজার মনিটারিং করা হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে জেলার লাকসাম ও মুরাদনগরে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে চার লাখ দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গত কয়েকদিন ধরে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও গুদামজাত করার সংবাদ পেয়ে লাকসামে অভিযানে নামে উপজেলা ও পৌর প্রশাসন। এ সময় অনিয়মের অভিযোগে ১২টি চালের আড়তকে তিন লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম সাইফুল আলম, পৌরসভা মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহবত আলী, লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার মুরাদনগর উপজেলার বৃহৎ পাইকারি আড়ত কোম্পানীগঞ্জ বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন। এ সময় মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিষেক দাশ দুই ব্যবসায়ীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

পরে অভিষেক দাশ বলেন, ‘আমরা প্রতিটি বাজার মনিটরিং করছি এবং পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে জরিমানাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। কোম্পানীগঞ্জ বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেশি দরে এবং চালের দাম বস্তাপ্রতি ১০০ থেকে দেড়শ টাকা বেশি দরে বিক্রি করায় দুজন ব্যবসায়ীকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেইসঙ্গে প্রতিটি দোকান ও আড়তে পণ্যের মূল্যতালিকা ঝুলিয়ে রাখতে বলা হয়।’