কুমিল্লায় সালিশি বৈঠকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!

কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় সালিশি বৈঠকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক চালককে বেধরক মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চরবাড়িয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের দোকানে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় বসা সালিশি বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত চালকের নাম সানাউল্লাহ (৫৫)। তিনি লাকসামের আজগরা ইউনিয়নের চরবাড়িয়া গ্রামের হালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

পরিবারের দাবি, বৈঠকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল, ঘাতক জামশেদ ও ছুটিতে বাড়িতে আসা আরিফুর রহমান সুমন নামের পুলিশের এক সদস্য সানাউল্লাহকে বেধরক মারধরের পর ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন।

সানাউল্লাহর ছেলে শরিফ আহম্মেদ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিলেন সানাউল্লাহ। এ সময় মসজিদের ভেতরে পেছনে বসে হাসাহাসি ও দুষ্টামি না করার জন্য অভিযুক্ত জামশেদের ছেলেকে ডাক দেন সানাউল্লাহ। পরে নামাজ শেষে জামশেদ ও সানাউল্লাহর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে জামশেদ স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল ও পুলিশ সদস্য আরিফুর রহমান সুমনকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের দোকানের সামনে সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে সালিশি বৈঠক ডাকেন। বৈঠকের একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে সানাউল্লাহকে বেধরক মারধর করেন জামশেদ, আবুল ও সুমন। পরে বৈঠকে উপস্থিত জনতার সামনে সানাউল্লাহর শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিকবার ছুরিকাঘাত করেন তাঁরা। এরপর মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা সানাউল্লাহকে উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন জানান, ছুরিকাঘাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লাকসাম থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের পরিবার। হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে মাঠে নেমেছে লাকসাম থানা পুলিশ।