কুষ্টিয়ায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, পানিবন্দি অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ
পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে ১৫ দিন ধরে পানিবন্দি অবস্থায় আছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ৪০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, চিলমারি ও পাশের ইউনিয়নের ৪০টি গ্রামের প্রতিটি বাড়ির ভেতরে পানি ঢুকে থই থই করছে। ঘরের ভেতর একহাঁটু পানি। বাড়ির বাইরে পানি বুকসমান হওয়ায় এখানকার মানুষের চলাচলে নৌকাই এখন একমাত্র ভরসা।
বন্যাকবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। এখানকার টিউবওয়েলগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। সুপেয় পানির অভাবে মানুষের পেটের পীড়াসহ অন্য রোগ দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি গবাদিপশুর খাবারেরও সংকট দেখা দিয়েছে। এবার বন্যার পানি বেশি হওয়ায় পোকামাকড় ও সাপের উপদ্রব বেড়েছে। চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে বানভাসি মানুষ।
বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে এ অঞ্চলের আমন ধান, পাটক্ষেত, মরিচক্ষেত, কচু, কলাসহ বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে পদ্মা ও গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় হুমকির মুখে পড়েছে শেখ রাসেল কুষ্টিয়া-হরিপুর সংযোগ সেতু, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অসংখ্য স্থাপনা। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে নদী তীরবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট, বসতবাড়ি ও ফসলিজমি। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নদী সংলগ্ন নতুন নতুন এলাকা। চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পদ্মা ও গড়াই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।
বন্যাকবলিত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ-সামগ্রী বিতরণ করছে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংগঠন। আর এসব এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।