কুষ্টিয়ায় ৪ মামলার পলাতক আসামির গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর থেকে ধর্ষণ ও অস্ত্রসহ চার মামলার পলাতক আসামি রুহুল আমিনের (৪০) গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফিলিপনগরের পিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনের মাঠ থেকে মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় থাকা তার মরদেহটি আজ মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করা হয়। নিহত রুহুল ফিলিপনগর এলাকার মুন্তাজ সর্দারের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, মাঠের মধ্যে উঁচু করে নতুন মাটিচাপা দেওয়া দেখে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে মাটি সরিয়ে রুহুলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ বলছে, নিহত রুহুল আমিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তিনি পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে রুহুলের সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারছিল না তার পরিবার।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবীদ হাসান বলেন, ‘স্থানীয়দের দেওয়া খবরে আমরা ফিলিপনগরের ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় এক ব্যক্তির জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করি। এলাকাবাসী মরদেহটি এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী রুহুলের বলে শনাক্ত করেছে। রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় ধর্ষণ ও অস্ত্রসহ চারটি মামলা রয়েছে। সে পুলিশের ভয়ে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। কে বা কারা কী কারণে রুহুলকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’