কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, পানিবন্দি অর্ধলাখ মানুষ

Looks like you've blocked notifications!
কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শতাধিক চর ও নদীসংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবি : ইউএনবি

ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ১০, ধরলা ব্রিজ পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে এবং তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শতাধিক চর ও নদীসংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধলাখ মানুষ। ঘরবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় অনেকেই রাস্তা ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে চরাঞ্চল ও নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ। প্রথম দফা বন্যার পানি নেমে যেতে না যেতেই আবারও বন্যার কবলে পড়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে তারা।

ধরলার পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কালুয়ার চর ও সদর উপজেলার সারডোব বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। একইভাবে তিস্তার ভাঙনে দলদলিয়া ইউনিয়নের সরদারপাড়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের কবলে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, জেলার ১৯টি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র রূপ নিয়েছে। এর মধ্যে ১১টি পয়েন্টে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বড় বন্যার আশঙ্কায় মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে স্কুল এবং আবাসনগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষকে উদ্ধারে নৌকা প্রস্তুত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।