কুড়িগ্রামে পুলিশকে ধাওয়ার ঘটনায় মামলা
লকডাউনে বাজারে জনসমাগম রোধ করতে গিয়ে জনতার ধাওয়ার শিকার হয় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কচাকাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে কচাকাটা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
কচাকাটা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে আজ সোমবার মামলাটি করেন।
পুলিশ জানায়, চলমান লকডাউন কাযর্কর এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গত ২৫ জুলাই রোববার সন্ধ্যায় কচাকাটা বাজারে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই বুলবুল ইসলাম এবং কনস্টেবল আজমাইন ইসলাম। এ সময় গরুর হাটের দিকে ব্যাপক জনসমাগম দেখতে পান তারা। সেই জনসমাগম রোধ করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে এগিয়ে যায় ওই পুলিশ সদস্যরা।
এ সময় কয়েকজন জনতা দৌড়ে পালানোর সময় তাদের মধ্যে একজনের হাতে থাকা বাজারের মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় কিছু লোক উত্তেজিত হয়ে উল্টো পুলিশদের ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে এএসআই বুলবুল কচাকাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের পাশে অবস্থিত তাঁর ভাড়াবাসায় প্রবেশ করেন।
এ সময় উত্তেজিত জনতা লাঠিসোটা নিয়ে তাঁর বাসার সামনে অবস্থান নেয় এবং বাসার গেট ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে।
পরে খবর পেয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলমসহ পুলিশের অন্য সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে এএসআই বুলবুলকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ ঘটনায় কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা আজ সকাল ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কচাকাটা হাটে মানুষের সমাগম রোধে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় হাটের কিছু দুষ্ট লোক গুজব ছড়িয়ে দেয়, হাটে এসে পুলিশ মারপিট করছে। ফলে একটি ভুল বোঝাবুঝির হয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার ঘটে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’