কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ধরলা-ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপরে

Looks like you've blocked notifications!
ভারী বৃষ্টি ও উজানে ঢলের কারণে কুড়িগ্রামে ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ-নদীর অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ছবি : এনটিভি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সদর, উলিপুর ফুলবাড়ী, চিলমারী ও রাজারহাট উপজেলার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। চর ও দ্বীপচরগুলো প্লাবিত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ঘরবাড়ি তলিয়ে থাকায় অনেক পরিবার ঘরের ভেতর উঁচু মাচানে ও নৌকায় দিন পার করছে।

সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা, যাত্রাপুর, পাঁচগাছী ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা, চিলমারী উপজেলার চিলমারী, অষ্টমীরচর এবং নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়্যারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে—এসব এলাকায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ারচর, রলাকাটা, খেয়ার আলগা, বড়–য়া ও মাঝিয়ালির চরের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার নয় সেন্টিমিটার, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার নয় সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আগামী ২৪ ঘণ্টায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।