কুড়িগ্রামে শৈত্যপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে মানুষ
কুড়িগ্রামে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহের চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। আজ রোববার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় দিনে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা ছিল।
এদিকে, উত্তরের হিমেল হাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমজীজী ও নিম্ন আয়ের মানুষের। জীবন-জীবিকার তাগিদে অনেকেই বাধ্য হয়ে কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করেই বের হচ্ছে কাজে। গরম কাপড়ের অভাবে তীব্র শীতকষ্টে ভুগছে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে জেলার নদ-নদী বেষ্টিত সাড়ে চার শতাধিক চরাঞ্চলের মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার সবুর আলী বলেন, ‘প্রায় এক মাস ধরে ঠাণ্ডায় ভুগছি। রাত হলে ঠাণ্ডা বেড়ে যায়। খুব বেশি গরম কাপড় নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে দিন পার করছি।’
জেলা শহরের রিকসাচালক সদর উপজেলার আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমি শহরে রিকশা চালাই। সন্ধ্যার পর থেকে আর রিকশার হ্যান্ডেল ধরা যায় না। কনকনে ঠাণ্ডায় যাত্রীও পাওয়া যায় না।’
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তুহিন জানান, আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপত্রামা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফ জানান, এ পর্যন্ত জেলার ৯ উপজেলার শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে বিতরণ করা হয়েছে আরও তিন হাজার শীতবস্ত্র। এ ছাড়া নতুন করে আরও ২৫ হাজার কম্বলের বরাদ্দের চিঠি পাওয়া গেছে। এগুলো হাতে পাওয়া সঙ্গে সঙ্গে শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে।