কৃষকের ধান কেটে দিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক

Looks like you've blocked notifications!
ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আজ সোমবার ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়নের শুবন্দী এলাকায় ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ছবি : সংগৃহীত

বাম্পার ফলন হলেও করোনাভাইরাসের প্রভাবে ফসল ঘরে তুলতে শ্রমিক ও আর্থিক সংকটের কারণে ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেক কৃষক। এ অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীদের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় দল বেঁধে ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দিচ্ছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।  

ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য নেতাকর্মীদের উৎসাহ দিতে কাস্তে হাতে নেমে পড়েছেন অসহায় কৃষকদের ধান কাটতে। আজ সোমবার ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়নের শুবন্দী এলাকায় ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা।

এ সময় তাঁদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শুবন্দী এলাকার কৃষক নূর মোহাম্মদের প্রায় এক একর জমির ধান কেটে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন। এ সময় তাঁরা ধান মাড়াইয়ের কাজেও অংশ নেন। শ্রমিকবেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা ছাত্রলীগের জন্য নতুন কিছু নয় বলে মনে করেন দেশের প্রাচীন ও বৃহৎ ছাত্র সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আজ সোমবার ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়নের শুবন্দী এলাকায় ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ছবি : সংগৃহীত

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আহ্বানে দেশের এই ক্রান্তিকালে সব সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি সফল করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গত বছর করোনা মহামারিতে শ্রমিক সংকটে যখন কৃষকেরা ধান কাটতে পারছিলেন না তখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে। গত বছরের মতো এবারও যখন করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকতে, তখন সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শ্রমিক সংকটে পড়া অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। চলমান সংকটে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকদের পাশে থাকবেন।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে লকডাউন ঘোষণা করার পর সারা দেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক কৃষক শ্রমিক সংকটে পড়েন। এতে তারা জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েন। করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে আমাদের অভিভাবক কৃষিবান্ধব নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গতবারের মতো এবারও এমন সংকটময় মুহূর্তে নিরুপায় অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন। আজ অসহায় কৃষকের ধান কেটে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা গর্বিত। সারা দেশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের পাশে থেকে এ কর্মসূচি চলমান রাখবে।’

ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আজ সোমবার ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন ধামসোনা ইউনিয়নের শুবন্দী এলাকায় ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। ছবি : সংগৃহীত

কৃষক নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘চলমান লকডাউনের কারণে জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছিলাম। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসতে পারছে না। ফলে এলাকায় দেখা দিয়েছে ধানকাটা শ্রমিক সংকট। মাঠে পাকা ধানগুলো নষ্ট হওয়ার পথে খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার এক একর ক্ষেতের ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন। তাদের এ সাহায্যের কথা আমি কখনো ভুলব না।’

ধানকাটা কার্যক্রমে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ম. সাইফ বাবু ও রাকিব হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জাব্বার রাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, উপ-দপ্তর সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম খান শিমুল, উপ-সাহিত্য সম্পাদক এস এম রিয়াদ হাসান, উপ-অর্থ সম্পাদক আতিকুল ইসলাম আতিক, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনির, সাভার উপজেলাসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এ ধানকাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।