কৃষি উদ্যোক্তা তৈরিতে সেল গঠন করা হবে : কৃষিমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
আজ শনিবার ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : এনটিভি 

দেশে কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে ও নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ে  একটি পৃথক সেল গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, দেশে এখন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উৎসাহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে কৃষি উদ্যোক্তারা কে কি ফসল চাষ করবে, কোন ধরনের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করবে, তাদের কী সহযোগিতা দরকার- এ সব বিষয়ে দেখভাল, সহযোগিতা ও যোগাযোগ রক্ষা করবে এই সেল।

আজ শনিবার ঢাকার ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে কৃষি উদ্যোক্তা সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, স্বেচ্ছাসেবী নাগরিক সংগঠন বিসেফ এবং বিকশিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের কৃষি উদ্যোক্তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব কমিয়ে আনার উপায় খোঁজা, সহজ শর্তে ঋণ প্রদান ও মানবিক অর্থায়নে সুযোগসুবিধা সম্প্রসারিত করতে ‘ভরসার নতুন জানালা’ শিরোনামে এ সম্মেলনের আয়োজন। দেশের ৩৩টি জেলা থেকে কৃষি উদ্যোক্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন।

সাবেক কৃষিসচিব ও সম্মেলন সমন্বয়ক আনোয়ার ফারুকের সভাপতিত্বে ইউসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শওকত জামিল, বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আব্দুল হাকিম, বিসেফের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিদ্দিক প্রমুখ বক্তব্য দেন। 

মন্ত্রী বলেন, এ বছর সারা দেশে ২৮ হাজার কোটি টাকারও বেশি কৃষি ঋণ বিতরণের খোঁজখবর রাখতে মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কৃষকেরা সঠিকভাবে ঋণ পাচ্ছে কি না, ঋণ পেতে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে ও অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে কি না, কোন জেলায় কী পরিমাণ ঋণ বিতরণ হচ্ছে- এসব বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে এরইমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পূজাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার প্রসঙ্গ তুলে ড. রাজ্জাক বলেন, এবারের দুর্গাপূজায় যে সহিংসতা হয়েছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর যে আক্রমণ হয়েছে- তা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এটি আমাদের গায়ে কালিমা লেপন করেছে। এ ধরনের ঘটনা কোনোক্রমেই কাম্য নয়। ধর্মের নামে অপপ্রচার চালিয়ে যারা রংপুরের জেলেপল্লিতে মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও আগুনে পুড়িয়েছে তারা অমানুষ, পশুতুল্য ও বর্বর। এ ধর্মান্ধ বর্বরদের শিকড় সমূলে উৎপাটন করতে হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মানবতায় বিশ্বাস করি। মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, গারো, চাকমা, হাজং, বাঙালিসহ সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলে আমরা একটা জাতি। এ দেশটি সব মানুষের, এখানে সবার সমান অধিকার। আমরা মানুষ, এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।