কেএসআরএমের সহায়তায় তিন হাজার পরিবারের পাশে সিএমপি দক্ষিণ জোন

Looks like you've blocked notifications!
দেশের শীর্ষস্থানীয় লোহার রড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের সহায়তায় নগরীর তিন হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোন। ছবি : সংগৃহীত

দেশের শীর্ষস্থানীয় লোহার রড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএমের সহায়তায় নগরীর তিন হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করেছে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ জোন। নগরীর লাভলেইনের একটি কমিউনিটি সেন্টারে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টায় এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান।

এ সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে চলার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সরকার যে কয়দিন সাধারণ ছুটি ঘোষণার মাধ্যমে সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে বলেছে, তা মেনে চললে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে আমরা রক্ষা পাব।’

এ সময় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের প্রশংসা করে সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান সমাজের অন্য বিত্তশালীদের গরিব, অসহায় ও কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

সিএমপি কমিশনার আরো বলেন, ‘আমরা চাইলে সবাইকে ডেকে একসঙ্গে ত্রাণ সামগ্রী দিতে পারতাম। কিন্তু নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি বিবেচনায় আমাদের ফোর্স কষ্ট করে আপনাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে। আপনারা ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন, দেশকে নিরাপদ রাখুন।’

সিএমপির চালু করা ভ্রাম্যমাণ বাজার নিয়ে মাহবুবর রহমান বলেন, ‘আমরা ২৪ ঘণ্টা হটলাইন সেবা চালু রেখেছি। প্রতিটি থানায় একটি করে হটলাইন আছে। তা ছাড়া নগর পুলিশের একটি হটলাইন আছে, যার নম্বর—০১৪০৪০০৪০০। আপনারা এরই মধ্যে জেনেছেন, হটলাইনে ফোন পেয়ে আমাদের থানার ওসির গাড়ি গিয়ে রোগীকে হাসপাতাল পৌঁছে দিয়েছে। যার যেখানে যা প্রয়োজন, আমাদের বলুন। তবু ঘরে অবস্থান করুন।’

এ কার্যক্রমে কর্মহীন তিন হাজার পরিবারের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, তিন কেজি আলু, দুই কেজি ডাল, দেড় কেজি পেঁয়াজ-রসুন, আধা কেজি লবণ, এক লিটার তেল ও একটি সাবানসহ মোট ১৯ কেজি খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

জানা গেছে, সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর সাতকানিয়া উপজেলায় কর্মহীন দুই হাজার ৩০০ পরিবারের কাছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদের মাধ্যমে এক হাজার টাকা করে পাঠিয়েছে কেএসআরএম। এর আগে ঘরে ঘরে গিয়ে কেএসআরএম প্রতিনিধিরা সবার মোবাইলে নগদ অ্যাকাউন্ট চালু করে ডাটাবেইজ প্রস্তুত করেছিল।

ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘কেএসআরএম কর্তৃপক্ষ নীরবে দান করতে অভ্যস্ত। নগর পুলিশ প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেএসআরএম ত্রাণের ব্যবস্থা করে। চারদিকে সব বন্ধ। কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের পাশে থাকতে পেরে কেএসআরএম ধন্য।’

ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথ, কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শাহ মো. আবদুর রউফ, জোনের চারটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।