কেন মেহেজাবিন মা-বাবা-বোনকে ‘হত্যা’ করল, অনুসন্ধানে পুলিশ
রাজধানীর কদমতলীর মুরাদপুর এলাকায় স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, দম্পতির আরেক মেয়ে মেহেজাবিন হয়তো এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কেন মেহেজাবিন তিন খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন তা অনুসন্ধান করে দেখছে পুলিশ।
কদমতলী থানা জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে প্রথমে খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এবং পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে তিনজনকে খুন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে মাসুদ রানা (৫০), তাঁর স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (৪৫) এবং তাঁদের মেয়ে জান্নাতুলের (২০) হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয়েছে মাসুদ রানার আরেক মেয়ে মেহেজাবিনকে। ঘটনাস্থল থেকে মেহেজাবিনের স্বামী শফিকুল ইসলাম ও তাদের পাঁচ বছরের মেয়ে মার্জান তাবাসসুমকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ সব তথ্য জানিয়ে আজ বিকেলে কদমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মেহেজাবিনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার তদন্তে গিয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত জেনেছি, তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে শ্বাসরোধ করে। মেহেজাবিন এর সঙ্গে জড়িত। এর আগে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়েছিলেন তিনি। প্রত্যেকের গলায় দাগ রয়েছে। আমাদের ধারণা, গলায় কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে।’
কেন এই হত্যাকাণ্ড- এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। আরও তদন্ত করছি। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।’
তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।