কেরানীগঞ্জ কারাগারের ফাঁসিমঞ্চের লাইট জ্বালিয়ে প্রস্তুতি শুরু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদের ফাঁসির রায় আজ মধ্যরাতের পর কার্যকর করা হবে বলে কারাগার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
এজন্য কারাগারের ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এটিই হবে এই কারাগারের প্রথম ফাঁসি। সন্ধ্যার পর ফাঁসির মঞ্চের লাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার রাতে কারাগারের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে ১০ জনকে দিয়ে দিনের বেলায় ফাঁসির ট্রায়ালও করা হয়েছে। ডেপুটি জেলারা মঞ্চের পাশে দায়িত্ব পালন করছেন, বাইরেও ফোর্স বাড়ানো হয়েছে।’
কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ মধ্য রাতের পর ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আইন অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর খুনির ফাঁসি দিতে কারা কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।'
গত সোমবার রাত ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ৪৪ বছর ৭ মাস ২১ দিন পর গ্রেপ্তার হন তিনি। সবশেষ গতকাল শুক্রবার স্ত্রীসহ পাঁচজন কারাগারে মাজেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ফাঁসির আগে প্রত্যেক আসামিকে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়।
গত বুধবার ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এম হেলাল উদ্দিন চৌধুরী মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
ওইদিন বিকেলে মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে এ আবেদন করেন। কারা কর্তৃপক্ষ আবেদনটি বিকেলেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে বঙ্গভবনে পৌঁছানো হয়।
প্রাণভিক্ষার আবেদনটি বঙ্গভবনে পৌঁছার পরপরই তা খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি। এটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় কারা কর্তৃপক্ষের সামনে দণ্ড কার্যকরে বাধা থাকছে না।