কোকোকে দেশের মানুষ ক্রীড়াসংগঠক হিসেবে চেনে : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার ভার্চুয়াল আলোচনায় কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক রাষ্ট্রপতির সন্তান হিসেবে নয়, নিজের কাজের মাধ্যমে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। যাকে এ দেশের মানুষ একজন ক্রীড়াসংগঠক হিসেবে চেনে। এর প্রমাণ পাওয়া গেছে তাঁর মরদেহ মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় আনার পর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেতনা, সেটিকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আজ আমাদের জোর করে শাসন করা হচ্ছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শেষ করে এক দলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর ৫১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ রোববার ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একজন সামরিক সেনাপ্রধান ও সাবেক রাষ্ট্রপতির সন্তান হিসেবে আরাফাত রহমান কোকোর বনানীর সামরিক কবরস্থানে দাফন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তিনি তাঁর শেষ জায়গাটি সেখানে পাননি। আসলে আওয়ামী লীগের যে কেমেস্ট্রি, এই কেমেস্ট্রিটা হচ্ছে দলীয়করণের কেমেস্ট্রি। ওখানে আপনার নিরপেক্ষতা অথবা দলের বাইরে যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা-এটা তাদের মধ্যে নেই। আজকে গোটা রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে তারা। এটা তাদের আদর্শগত, নীতিগত বলব। কারণ ১৯৭৫ সালে তারা একদলীয় শাসন বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আমরা তো সেগুলো ভুলে যাইনি। আজকে যদিও সব কিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এত সহজে সত্যকে তো ঢেকে দেওয়া যায় না।

আরাফাত রহমান কোকোর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত তেমন পরিচয় ছিল না। কারণ তিনি কখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে কারো সামনে আসতে চাননি। তিনি রাজনীতির মানুষও ছিলেন না। একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য কাজ করে গেছেন। আজকের যে খেলা তার ভিত্তি তৈরি করেছেন আরাফাত রহমান কোকো।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ঘোষক, যিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাঁর সম্পর্কে মিথ্যা বিভ্রান্তিকর কথা বলে খাটো করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের যে কেমিস্ট্রি সেটি হলো দলীয়করণের। তারা দলের বাইরে কাজ করার বা কারো কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার সংস্কৃতি তাদের নেই। এটা তারা পারে না। যার ফলে সব কিছুকে আজ তারা দলীয়করণ করেছে। এটি তাদের আদর্শগত, রাজনীতিগত চরিত্র।

আমার কাছে আরাফাত রহমান কোকোর যে দিকটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো তিনি পিতামাতার পরিচয়ে পরিচিত হতে চাননি। তাঁর নিজস্ব যে জায়গা আছে সেটি দিয়ে তিনি নিজেকে পরিচিত করেছেন এবং তিনি সফল হয়েছেন। যোগ করেন মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব খারাপ সময়ের মধ্যে যাচ্ছি। এখানে খেলাধুলা বলেন, গান-বাজনা বলেন সব কিছু দলীয়করণের মাঝে রয়েছে।