ক্যাবল অপারেটরদের কারণে ১০-১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি : তথ্যমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে সাড়ে চার কোটি টেলিভিশন গ্রাহক আছে। এখান থেকে ক্যাবল অপারেটররা প্রচুর আয় করে। কিন্তু সরকারের খাতায় ট্যাক্স-ভ্যাট জমা হচ্ছে খুব কম। ডিজিটাল পদ্ধতি হলে এই ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হবে না। ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল হলে সরকার এ খাতে ক্যাবল অপারেটরদের কাছ থেকে বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট পাবে, যেটি এখন পাচ্ছে না।

মন্ত্রী আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, সারা দেশের টিভি ক্যাবল অপারেটরদের সিস্টেম ডিজিটালাইজড করার জন্য সর্বোচ্চ এক বছরের বেশি সময় প্রয়োজন হয় না, হওয়া উচিত নয়। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে তার আগেই করতে হবে, সেটি কয়েক মাসের মধ্যে করা সম্ভব।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এর আগে ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করে এ বছরের ৩০ জুন ডিজিটালাইজেশনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম। ঢাকা ও চট্টগ্রাম গত ডিসেম্বরের মধ্যেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি করা হয়নি। কেন হয়নি, সে জবাব তাদেরকেই দিতে হবে। তাগাদা দেওয়া হয়েছে। অতীতে যেমন টেলিভিশনের সিরিয়াল ঠিক করতে পারেনি, পরে ঠিক করা হয়েছে। এখানেও আমরা সরকার যখন বদ্ধপরিকর, যারা পারবে তারা করবে, আর যারা পারবে না, সরকারের আদেশ মানতে ব্যর্থ হবেন তাদের ব্যাপারে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।

‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই আপনাদের সবার সহযোগিতায় সেই শৃঙ্খলা অনেকটাই ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এখন টিভিগুলোর সিরিয়াল ঠিক রাখার জন্য দেন-দরবার করতে হয় না। ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে কয়েক দফা বসে তাদের আমরা ডিজিটালাইজেশনের জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, তারাই বলেছিল, গত বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেটি তারা করতে পারেনি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কেবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করা হয়েছে।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক ক্যাবল অপারেটরের সঙ্গে আরেক কেবল অপারেটরের দ্বন্দ্ব, রশি টানাটানি এবং একইসঙ্গে তাদের ইচ্ছেমতো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ফিস নেওয়া, তারপর নিজেরা আবার অনেক সময় টেলিভিশন চ্যানেলের মতো কাজ করা- এই বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমরা কিছুটা শৃঙ্খলা আনতে সক্ষম হয়েছি। দেশ এবং জাতির স্বার্থে পুরোপুরি শৃঙ্খলা আনতে আমরা বদ্ধপরিকর। একইসঙ্গে সরকার যাতে ট্যাক্স-ভ্যাট সঠিকভাবে পায় এবং সেটি জনগণের কাজে ব্যয় করা সম্ভব হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’