ক্রিকেটার মিরাজের বাসায় চুরি, একজনের দায় স্বীকার
জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের মিরপুরের বিজয় রাকিন সিটির বাসায় চুরির কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি সোহেল রানা (২০)। তিনি রাকিন সিটিতে ফায়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন।
আজ শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রণপ কুমার ভক্ত এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গ্রেপ্তার আসামি সোহেল রানাকে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক। এরপরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইলিয়াস মিয়ার আদালতে আসামি সোহেল রানাকে হাজির করা হয়। সেখানে তাঁকে জবানবন্দি দিবে কি না, তা ভাবার জন্য তিন ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন বিচারক। পরবর্তী সময়ে জবানবন্দি দিতে রাজি হলে বিচারক তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
জিআরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি কীভাবে চুরি করেছেন, সঙ্গে কারা কারা ছিলেন, কবে থেকে চুরির পরিকল্পনা ছিল এবং চুরির মালামাল কোথায় রেখেছেন তাই স্বীকারোক্তিতে বলেন। এ ছাড়া স্বীকারোক্তি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এদিকে গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিজয় রাকিন সিটিতে অভিযান চালিয়ে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযানের সময় সোহেল রানার পল্লবীর বাসা থেকে চোরাইকৃত প্রায় ১৩ ভরি সোনা, ১২ আনা ডায়মন্ড ও ১৬ ভরি ইমিটেশনের গহনা উদ্ধার করা হয়।
এদিকে এ চুরির ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও চোরাই মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে এক প্রতিবেদন দিয়ে আদালতকে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজের মিরপুরের বিজয় রাকিন সিটির বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এ চুরির ঘটনায় আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট চলাকালে দলের সঙ্গে টিম হোটেলে ওঠেন মিরাজ। সঙ্গে নিয়ে যান তাঁর স্ত্রী রাবেয়া আক্তার প্রীতিকেও। সে থেকে পাঁচ দিন তাঁর ফ্ল্যাটটি ফাঁকা ছিল। এর মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটে।
মিরাজের বোন এনটিভি অনলাইনকে মুঠোফোনে বলেন, ‘সিরিজ চলাকালে ভাবিকে নিয়ে ভাইয়া হোটেলে ওঠেন। মা-বাবাও গ্রামের বাড়ি ছিলেন। এই সময় ফ্ল্যাট খালি ছিল। তখন চুরির ঘটনা ঘটে। সিরিজ শেষে বাসায় গেলে দেখা যায়, বাইরে থেকে ঠিকঠাক তালা মারা, কিন্তু ভেতরে সব এলোমেলো, স্বর্ণালংকার নেই। বাসায় ভাবির অনেক স্বর্ণালংকার ছিল। প্রায় ৩০ ভরির মতো হবে। সব নিয়ে গেছে। নগদ টাকাও ছিল বেশ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০-৩৫ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।’
পরে রাজধানীর কাফরুল থানায় চুরির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।