থানা থেকে বের হয়ে শওকত বললেন

‘ক্ষতি আমারটা আমি করছি, আমি জ্বালাইছি’

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বাড্ডায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন শওকত আলী। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরানোর ঘটনায় আটক পাঠাও চালক শওকত আলীকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে বাড্ডা থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে শওকত আলী বলেন, ‘ক্ষতি আমারটা আমি করছি। আমারটা আমি জ্বালাইছি। পুলিশের দায়িত্ব ছিল গাড়ি এখানে নিয়ে আসা, তারা নিয়ে এসেছে। আমি এখন বাড়ি যাচ্ছি।’

শওকত আরও বলেন, ‘আমি অন্যায় কিছু করিনি। আমি সেখানে এলে তারা মামলা দিতে চেয়েছিল। আমি সামনে এসে দাঁড়িয়েছি, অনুরোধ করছি মামলা না দিতে। তারপরও মামলা দিতে চেয়েছিল। তখন আমি বলেছি মামলা দেন, আমি আর গাড়ি চালাব না। তাই পুড়িয়ে দিয়েছি। গত সপ্তাহেও মামলা দিয়েছে।’

মোটরসাইকেল চালক বলেন, তিনি কেরানীগঞ্জে ব্যবসা করতেন। করোনাভাইরাস মহামারিতে ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে একমাস ধরে তিনি অ্যাপসের মাধ্যমে রাইড শেয়ার করছেন।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা চালককে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করি। তিনি কেন এমন কাজ করলেন জানার চেষ্টা করি। ট্রাফিক পুলিশের কোনও ভুল ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

এদিকে আজ এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, মোটরসাইকেল চালক শওকত আলী ছোটাছুটি করছেন, ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তাঁর মোটরসাইকেলে আগুন জ্বলছে। কেউ কেউ পানি দিয়ে মোটরসাইকেলের আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে এলে তিনি তাতে বাধা দেন।

এ বিষয়ে বাড্ডা ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) সুবীর রঞ্জন দাস এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “বাড্ডা লিংক রোডের জনতা ইন্স্যুরেন্সের সামনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকের ঘটনা এটি। ট্রাফিক সার্জেন্ট ওই ব্যক্তির কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। কাগজপত্র হাতে দিয়েই তিনি সার্জেন্টকে লক্ষ্য করে বলতে থাকেন, ‘মামলা করবেন না স্যার।’ কাগজপত্র নেওয়ার দুই মিনিটের মধ্যে তিনি তাঁর নিজের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে কিন্তু দেখা গেছে, কাগজপত্রের কোনো সমস্যা ছিল না।’

পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘উনি হয়তো হতাশ মানুষ। ব্যবসা করতেন। করোনাকালে হয়তো ধরা খেয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর মধ্যে একটি ভয় ছিল, এখানে যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় থাকার কারণে মামলা দিতে পারে। ওই স্থানে আরও অনেক রাইডার দাঁড়ান। কিন্তু, ওখানে আজ দাঁড়াতে না দেওয়ার কথা ছিল। সেজন্য হয়তো উনি আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।’

পুলিশের এসি সুবীর রঞ্জন দাস আরও বলেন, ‘আসলে উনি হয়তো কোনো কারণে ক্ষুব্ধ ছিলেন, সেজন্য গালি দিচ্ছিলেন। আমরা বিষয়টি আরও যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’