ক্ষমতা থাকলে আজকের দিনকে শিক্ষক দিবস ঘোষণা করতাম : শামসুল হক টুকু

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. শামসুজ্জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক ৷

ক্ষমতা থাকলে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা দিবসকে শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতেন- বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

আজ শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন৷

ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক বলেন, ‘ড. জোহা শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা ছিলেন না, তিনি সারা বাংলাদেশের শিক্ষককূলের ঐতিহ্য। তিনি রক্ত দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন এ দেশের শিক্ষক কূল কাপুরষ নয়, তারা মহাসংকটেও মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে পারে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ড. শামসুজ্জোহার এই দিনকে সারাদেশে শিক্ষক হিসেবে পালন করতে পারি না৷ আমিও আপনাদের মতের সাথে একমত। আমার যদি ক্ষমতা থাকত, আজকের এই দিনকে শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে পারতাম।’

জাতীয় সংসদের এ ডেপুটি স্পিকার আরও বলেন, ‘ড. শামসুজ্জোহা পাক হানাদার বাহিনীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন আমার গায়ে লাগে৷ তিনি আজকের দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন৷ তিনি রক্ত দিয়ে তাঁর বক্তব্য প্রমাণ করে গেছেন৷ তাঁর সেই রক্তের সিঁড়ি বেয়ে আগরতলা মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয় আইয়ুব খান। কিন্তু আমরা এতোদিন পরেও শহীদ ড. শামসুজ্জোহার এই দিনটিকে সারা বাংলাদেশে সার্বজনীন করতে পারলাম না৷’

ডেপুটি স্পিকার বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে, ছাত্রনেতা হিসেবে, সেই দিনের একজন যোদ্ধা হিসেবে এবং এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে এটা নিয়ে আমি নিজেও ক্ষুব্ধ। আজকের দিনকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই শেষ নয়, উত্তরাঞ্চলের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের নিয়ে অন্তত সোচ্চার হওয়া দরকার৷ যাতে ড. শামসুজ্জোহার এই দিনটি দেশব্যাপী জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়৷’

এর আগে শহীদ ড. শামসুজ্জোহা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থিত ড. জোহার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ডেপুটি স্পিকার৷ পরে এক মিনিট নিরবতা পালন শেষে ড. জোহার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন৷ এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ন কবীর ও অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷