খাগড়াছড়িতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের পাঁচ ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়ির তিন উপজেলার ৩৫টি বিদ্যালয়ের শিশুদের মাতৃভাষায় পাঠদানের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ। ছবি : এনটিভি

খাগড়াছড়ির তিন উপজেলার ৩৫টি বিদ্যালয়ের শিশুদের মাতৃভাষায় পাঠদানের জন্য পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত শিক্ষক প্রশিক্ষণ আজ শেষ হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাং সেতু এমএলই প্রকল্পের আওতায় এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের পাঁচটি ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছেন।

এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় খাগড়াছড়ি জাবারাং কল্যাণ সমিতি রির্সোস সেন্টারে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম, উপজেলা ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর রিন্টু কুমার চাকমা, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ, চাকমা ভাষার প্রশিক্ষক প্রসন্ন কুমার চাকমা, ককবরক ভাষার প্রশিক্ষক জগদীশ রোয়াজা, মারমা ভাষার প্রশিক্ষক ক্যহ্লচাই চৌধুরীসহ প্রশিক্ষণার্থীরা।

খাগড়াছড়ির তিন উপজেলার ৩৫টি বিদ্যালয়ের শিশুদের মাতৃভাষায় পাঠদানের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ। ছবি : এনটিভি

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, ‘বাংলা ভাষা আজ আন্তজার্তিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে আর্ন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করি। তারই আলোকে দেশে যেন সব ভাষা বেঁচে থাকে, কোনো ভাষা যাতে হারিয়ে না যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের পাঁচটি ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছেন। সারা দেশের মতো খাগড়াছড়িতেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চাকমা, মারমা ও ককবরক (ত্রিপুরা) ভাষা চালু হয় ২০১৭ সাল থেকে। তবে এই ভাষা ২০১৭ সাল থেকে চালু হলেও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের অভাবে কিছুটা থেমে ছিল। বিভিন্ন সময় সরকারি ও বেসরকারিভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।’

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ইউকেএইড-এর অর্থায়নে খাগড়াছড়ির স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাবারাং কল্যাণ সমিতির পরিচালনায় পাঁচ দিনব্যাপী খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি ও পানছড়ির ৩৫টি বিদ্যালয়ের ৩৫ জন শিক্ষককে নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই উদ্যোগের জন্য প্রধান অতিথি জাবারাং কল্যাণ সমিতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

সরকারিভাবে যেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিজ নিজ মাতৃভাষায় প্রশিক্ষণ পান তিনি সে ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন।