খাগড়াছড়ি কারাগারে আসামির মৃত্যু, পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে পাঠানোর আগে মিলন বিকাশ ত্রিপুরা (মধ্যে)। ফাইল ছবি

খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারে মিলন বিকাশ ত্রিপুরা (২৬) নামের এক আসামির মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে, অপরটি কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। দুটি তদন্ত কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের  ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটিতে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিনিয়া চাকমা ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মিটন চাকমা। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ ছাড়া কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ডিআইজি (প্রিজন) চার সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি করে দিয়েছেন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রাঙামাটির জেলা কারাগারের জেল সুপার মতিউর রহমান। অপর দুই সদস্য হলেন বান্দরবান কারাগারের জেলার ফোরকান ওয়াহিদ ও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. শামিম রেজা। এই কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের টয়লেটের ভেন্টিলেটরের রডে ঝুলন্ত অবস্থায় মিলন বিকাশ ত্রিপুরার (২৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মিলন রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অরুন পাড়া এলাকার মনসারাই ত্রিপুরার ছেলে।

ঘটনার পর কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গলায় গামছা পেচিয়ে মিলন আত্মহত্যা করেছেন। গত ১৬ মে খাগড়াছড়ির গুইমারা থানায় দায়ের করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলায় মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরের দিন ১৭ মে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিলন কারাগারে ছিলেন।

শুক্রবার বিকেলে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পারিবারিকভাবে মিলনের দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়।