খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন : মির্জা ফখরুল

Looks like you've blocked notifications!
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : এনটিভি অনলাইন

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ চেয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ। তাকে উন্নত চিকিৎসা না দিলে তার জীবন হুমকির মুখে। এর জন্য সরকারকে দায় নিতে হবে। সুতরাং তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ দিন।

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা ফখরুল এ দাবি জানান। বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তর-দক্ষিণ। 

এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। এতে বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতারা বক্তব্য দেন। নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়।

সরকারের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দেশে ফেরার সুযোগ দিন।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, 'খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকির আমরা ধিক্কার জানাই, নিন্দা জানাই। ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। কারণ আমরা ভাবতেও পারি না একটি দেশের যেমন করেই হোক, জোর করে ক্ষমতা দখল করে যিনি ক্ষমতার দায়িত্ব নিয়েছেন, তাঁর মুখ থেকে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন সন্ত্রাসী মন্তব্য আসে কী করে। কোনো সভ্য দেশের মানুষ এই ধরনের কথা সহ্য করতে পারে না। আজকের সমগ্র দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ধিক্কার জানাচ্ছে। কোন সভ্য সমাজে এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করার চিন্তাও করা যায় না। কিন্তু তিনি কেন করেছেন? তিনি এজন্য করেছেন যে, তিনি এখন নার্ভাস হয়ে গেছেন। তিনি দেখতে পাচ্ছেন, তার ক্ষমতার দিন শেষ। তিনি দেখতে পাচ্ছেন যে, সামনে আর ক্ষমতায় আসতে পারবেন না। তার তক্ত তাউস টলমল হয়ে গেছে।'

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করার জন্য আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অন্যথায় জনগণ আপনাদের ক্ষমা চাওয়ার সুযোগও দিবে না। জনগণ টেনেহিঁচড়ে আপনাকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। পরিষ্কার করে বলতে চাই, এখনো সময় আছে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচনে যে সরকার গঠিত হবে, সেই সরকার হবে জনগণের সরকার।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করার বড়াই করছেন, কিন্তু পদ্মা সেতু আপনার একার নয়। এটা আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি নয়, জনগণের পকেটের টাকা থেকে ট্যাক্স কেটে নিয়েছেন। সেই টাকা থেকেই পদ্মা সেতু তৈরি। এখানে যে দুর্নীতি করেছেন তার দুর্নীতির সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জনগণ জানতে চায় পদ্মা সেতু নির্মাণে জনগণের পকেট থেকে কত টাকা কেটেছেন। জানতে চাই কত টাকা পদ্মা সেতুতে আর কত টাকা আপনাদের পকেটে ভরেছেন?'

প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর বিএনপি দক্ষিণের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, হাবীবুর রহমান হাবীব, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মোস্তাফিজুর রহমান, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, নুরুল ইসলাম নয়ন, মামুন হাসান, রাজিব আহসান প্রমুখ।