খালেদা জিয়ার জন্মদিনের নথির ওপর শুনানি কাল

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত তথ্য হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার কার্যতালিকায় থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত। নথিগুলোতে কী তথ্য রয়েছে এ বিষয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। আগামীকাল শুনানির সময় বিষয়টি জানা যাবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিষ্ঠানগুলো এই তথ্য দাখিল করে। 

সূত্র জানায়, আদালতে খালেদা জিয়ার পাসপোর্টে থাকা জন্ম তারিখ সম্পর্কিক তথ্য, নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে তথ্য, খালেদা জিয়ার ম্যারিজ সার্টিফিকেট, এসএসসি তথা ম্যাট্টিকুলেশন শিক্ষাবোর্ড থেকে তথ্য এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তির সময় জন্ম তারিখের তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে।   

আজ আদালতে রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি আদালতকে বলেন, ‘মাই লর্ড, আদালতের নির্দেশে সব নথি পৌঁছেছে। আমরা এ বিষয়ে শুনানি করতে চাই।’ 

এ সময় আদালত বলেন, ‘এখন তো একদিন পরে কোর্টের অবকাশকালীন ছুটি। তাই শুনানি জানুয়ারিতে করা যায়।’

এ সময় আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বলেন, ‘মাই লর্ড, এটি জরুরি একটি বিষয়। বঙ্গবন্ধুর অনুভূতি জড়িত। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের ওপর ঘটে যাওয়া নারকীয় হত্যার পর সেটিকে খাটো করার জন্য এ জন্মতারিখ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে শুনানি করা খুবই জরুরি।’

পরে আদালত বলেন, আগামীকাল বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে।

গত ১৩ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংক্রান্ত সব নথি তলব করেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের সব নথি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

একইসঙ্গে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন বন্ধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও অরবিন্দ কুমার রায়। রিট শুনানিতে বিরোধিতা করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

যুবলীগনেতা মামুনুর রশিদ ১৫ আগস্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

রিটে ১৫ আগস্ট খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করায় তাকে কেন সাজা দেওয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জন্ম নিবন্ধনের সব নথি হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার, গুলশান থানার ওসি ও খালেদা জিয়াকে বিবাদী করা হয়েছে।