মানহানির মামলা

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ৪ ডিসেম্বর

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্বকে কলঙ্কিত, বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করার অভিযোগের মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার কেরাণীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ দিন নির্ধারণ করেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী  হান্নান ভূঁইয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় অভিযোগ গঠনের শুনানির পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করা হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন নির্ধারণ করেন। 

এজাহার থেকে জানা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দখল করেন।  তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্ব কলঙ্কিত করেছেন।

এতে আরো বলা হয়, ১৯৮১ সালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাঁকে হুমকি দেন ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ইতিহাস হুমকিযোগ্য ও মানহানিকর অপরাধ করেছেন। এ জন্য তাঁকে এ মামলায় মরণোত্তর আসামি করা হয়।

এজাহারে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী  যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। তিনি রাজাকার–আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তাদের বাড়িতে এবং গাড়িতে তুলে দেন। এর মাধ্যমে দেশ ও বিদেশের কাছে জাতির মান-সম্মান লঙ্ঘিত হয়েছে।

এ ঘটনায় ২০১৬ সালে ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি (মরণোত্তর) জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। পরে আদালত মামলাটি তদন্ত করে তেঁজগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। 

সেই নির্দেশের পরে ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে প্রতিবেদনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মৃত বলে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা আছে বলে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জিয়া অরফানেজ ও ট্রাস্ট এ দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।