খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নতুন কর্মসূচি

Looks like you've blocked notifications!

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার দলের উদ্যোগে ঢাকাসহ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।

এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার ঢাকাসহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়গুলোতে তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল হবে।

আজ মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রিজভী বলেন, ‘দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের আপসহীন নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমান্বয়ে অবনতি ঘটছে। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি হেঁটে আদালতে যাওয়া খালেদা জিয়ার হাত-পা এখন বেঁকে গেছে। প্রিজন সেলে বন্দি থাকায় হাত-পায়ের ব্যথা সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে, জয়েন্টগুলোতে প্রচণ্ড ব্যথার কারণে নিজে উঠে দাঁড়াতে পারছেন না, সোজা হয়ে বসতেও পারছেন না। এমনকি নিজের হাতে তুলে খেতেও পারছেন না। স্বাস্থ্যের এতটাই অবনতি হয়েছে যে তাঁর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পঙ্গু হওয়ার উপক্রম হয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতিতে চরমভাবে উদ্বিগ্ন।’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার অন্ধ প্রতিহিংসার বশে খালেদা জিয়াকে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতেই তাঁর সুচিকিৎসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। তাঁর ন্যায্য প্রাপ্য জামিনে সরাসরি বাধা দেওয়া হচ্ছে। নগ্নভাবে আদালতের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে অসত্য সংবাদ পরিবেশন করতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা এক ভয়াবহ ও সুদূরপ্রসারী চক্রান্তের বর্ধিত প্রকাশ। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সাহস, সততা ও দৃঢ়তা দিয়ে প্রত্যক্ষ অন্যায় ও অবিচারকে মোকাবিলা করছেন। অত্যাচারী অন্যায়ের রাজত্বে খালেদা জিয়া এক নির্ভীক কাণ্ডারী।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ দেশবাসীর উদ্দেশে উদাত্ত আহ্বান রেখে বলছি, এই মিডনাইট নির্বাচনের সরকার আপনাদের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা আপনাদের সরকার নয়। আপনাদের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, দায়বদ্ধতা অন্যখানে। এর কারণ, তাদের ক্ষমতার মূলে এমন একটি শক্তি সক্রিয়, যার ওপর কোনো হুকুম চলে না। এ কারণে আপনাদের ব্যস্ত রাখতে একটার পর একটা ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করেই চলেছে তারা। এই সংকট কৃত্রিম সংকট, এই সংকট অবাধ লুটপাটের সিন্ডিকেটের কারণে।’