খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ
কারারুদ্ধ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
আজ সোমবার স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরেজ জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের সিনিয়র সহসভাপতি রফিক হাওলাদার, কেন্দ্রীয় সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মো. শামীম আজাদ, ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সহসাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন ফারুক, সাবেক কেন্দ্রীয় তাঁতীবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মনির, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাঈদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোসাব্বির, কেন্দ্রীয় সাবেক সহসম্পাদক ফরহাদ উদ্দিন, অমিত হাসান হাফিজ, সাবেক সদস্য এ বি এম মুকুল, ডা. জাহিদুল কবির জাহিদ, আমিনুল ইসলাম তালুকদার মহসিন, মো. জসিম উদ্দিন, এস এম সায়েম, সালেহ আহমেদ কাঞ্চন, কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মো. নাসির, মো. আরিফুর রহমান, সরদার নুরুজ্জামান, ড. মফিদুল ইসলাম, ইউসুফ হারুন পাটোয়ারী, হাজী নুরুল আলম মোল্লা, সাইদুর রহমান মামুন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোর্শেদ আলম, অ্যাডভোকেট নুরুল হক, মো. আবু সাঈদ, ফয়জুল্লাহ মহাজন, আলমগীর হোসেন শাহীনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
মিছিল শেষে পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শফিউল বারী বাবু বলেন, ‘দেশের বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমরা চলমান সময় অতিবাহিত করছি। দেশে এখন মানুষের ন্যুনতম কোনো নিরাপত্তা নেই। যিনি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসিকতার সঙ্গে জীবনের সিংহভাগ ব্যয় করেছেন, আমাদের সেই প্রাণপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক ময়দানে পরাস্ত করতে সক্ষম না হয়ে ক্ষমতাসীন অগণতান্ত্রিক অপশক্তি মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে, আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে কারারুদ্ধ করে রেখেছে।’
শফিউল বারী বাবু বলেন, দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তাঁকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে, আর সেজন্য বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকেই দায়ী হতে হবে। তাই জনগণের দাবি খালেদা জিয়াকে এখনই মুক্তি দেওয়া হোক।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল বলেন, এই সরকার মনে করে বাংলাদেশের মানুষের প্রাণশক্তি খালেদা জিয়া জনগণের মাঝে সক্রিয় থাকলে অপকর্ম করা যাবে না। লুটপাট করা যাবে না। দেশকে বিদেশিদের কাছে বিক্রি করা যাবে না। ভোট ডাকাতি করা যাবে না। এ কারণে দুটি মিথ্যা মামলার রায়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে তাঁকে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি রেখে হত্যা চেষ্টা চলছে। যে নেত্রী একটি টাকাও তসরুপ করেননি, তাঁকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার শিকার বানিয়ে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে হত্যার জন্য জেলে রাখা হয়েছে। তিনি এদেশের ১৭ কোটি মানুষের কাছে নিকট সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। সেজন্য আওয়ামী লীগ প্রধান ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা হিংসা-প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলবো- মিথ্যা আর প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুন। গণমানুষের প্রাণাধিক প্রিয় ও মাদার অফ ডেমোক্রেসি খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র বন্ধ করে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।’