সাজা স্থগিত করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে সরকার মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন এমন খবর পেয়ে বিএনপির নেতা ও গণমাধ্যমের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সামনে ভীড় করেন। এখানেই বিএনপির চেয়ারপারসন চিকিৎসাধীন। সবাই আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করেন খালেদা জিয়া কখন মুক্তি পাবেন।   

তবে আজ রাত ৯টা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির কাগজপত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছেনি। এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব ইসলাম।

মাহবুব ইসলাম বলেন, ‘এখন বাজে রাত ৯টা। এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো নথি এসে পৌঁছায়নি। আজ রাতে আসবে কি না তাও জানি না।’

এদিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সন্ধ্যার পরও আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ছিলাম। এ ব্যাপারে কোনো কাগজ হাতে পাইনি। পরে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে চলেও এসেছি।’

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাহবুব ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে জানানো হবে। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ সদর দপ্তরকে জানাবে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে আমাদের কাছে (কেন্দ্রীয় কারাগারে) নির্দেশনা দেওয়া হবে।’

জেলার মাহবুব ইসলাম আরো বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া ওই নির্দেশনায় উল্লেখ থাকবে কখন বা কোন সময়ে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেব।’