তথ্যমন্ত্রী বললেন

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তারেক রহমানের শাস্তি নিয়ে বিএনপির রাজনীতি

Looks like you've blocked notifications!
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আজ রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি : এনটিভি

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তারেক রহমানের শাস্তি- এ দুটি নিয়েই বিএনপির রাজনীতি আবর্তিত। এর বাইরে তারা যেতে পারছে না। এটি তাদের জন্য দুঃখজনক।

আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিবের মন্তব্য ‘খালেদা জিয়া না থাকলে আওয়ামী লীগ থাকবে না’- এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব কথা বলতে গিয়ে কখন কোনটা বেফাঁস বলে ফেলছেন, এই বক্তব্যই তার প্রমাণ। খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আসার বহু বছর আগে আওয়ামী লীগের জন্ম, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। তাঁর এ ধরনের কথা অবান্তর। কোনো ইস্যু না পেয়ে বিএনপি মাঠ গরম করার জন্য নানা ধরনের কথা বলছে। তারা তো জনগণের জন্য রাজনীতি করে না, তাদের রাজনীতি পুরোটাই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আর তারেক রহমানের শাস্তি নিয়ে আবর্তিত। আমরা চাই এবং স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, খালেদা জিয়া সুস্থ হোন, খুব সহসাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান।’

রাজপথে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিষয়ে ড. হাছান মাহমুদ শিক্ষার্থীদেরকে যাতে কেউ রাজনীতির ক্রীড়ানক হিসেবে ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা যে নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করছে তার প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে সারা দেশে বিআরটিসি বাসে হাফভাড়া কার্যকর করেছেন। বেসরকারি বাস মালিক সমিতিও ঢাকায় এটি কার্যকর করেছে, চট্টগ্রামেও কার্যকর হচ্ছে বলে জেনেছি। কিন্তু রাস্তাঘাট আটকিয়ে মানুষের ভোগান্তি ঘটিয়ে আন্দোলন কতটুকু যৌক্তিক, সেই প্রশ্নও থেকে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মায়েরাও এখানে ঢুকে পড়েছেন, ৩৫ বছর বয়সী একজন রাজনৈতিক নেত্রী স্কুল পোশাকে আন্দোলন করছেন, অর্থাৎ সেখানে রাজনীতি ঢুকে গেছে। এ থেকে শিক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে হবে।’

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যুর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খুলনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৃত্যু অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তাঁর পরিবারের প্রতি শোক জানাই। বিষয়টি তদন্তাধীন এবং আমি মনে করি, সুষ্ঠু তদন্তে নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে তাঁর কোনো রোগ বা হার্টের সমস্যা ছিলো কি না। কেউ দায়ী হলে দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তি হবে। অভিযোগ এসেছে, তাঁর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হওয়ার পর উনি বাসায় গিয়ে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে মারা গেছেন। অভিযোগ যেহেতু এসেছে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েকজন ছাত্রকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু তদন্ত ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার আগে সেই বাকবিতণ্ডাকে দায়ী করা কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন থেকে যায়।’