‘খুনি মাজেদের মরদেহ ভোলায় প্রবেশ করতে দেব না’

Looks like you've blocked notifications!

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরখাস্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার পর মরদেহ ভোলায় প্রবেশ করতে দেবে না স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ শনিবার এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানান আবদুল মাজেদের পৈত্রিক নিবাস ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার স্থানীয় সাংসদ আলী আজম মুকুল।

সাংসদ আলী আজম মুকুল বলেন, ‘তার (মাজেদ) বিচার হয়েছে, পুলিশ তাকে আটক করেছে, এটা খুশির খবর হলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে আমরা ভোলাবাসী কোনো আনন্দ মিছিল পর্যন্ত করতে পারি নাই। এই খুনির ফাঁসির রায় অবশ্যই কার্যকর হবে। এতে ভোলাবাসী আনন্দিত। করোনাভাইরাসের কারণে আমরা আনন্দ মিছিল করতে না পারলেও, যে কোনো কিছুর বিনিময়ে হলেও খুনি মাজেদের লাশ ভোলায় ঢুকতে দিব না। প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব। শরীরের এক ফোটা রক্ত বিন্দু থাকতেও খুনি মাজেদের লাশ আমাদের এলাকায় প্রবেশ করতে দিব না।’

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার আড়াই মাসের মাথায় জেলখানায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। যে সেনা সদস্যরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, মাজেদ তাদের একজন। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে ২০০৯ সালের নভেম্বরে সর্বোচ্চ আদালত থেকে ১১ জনের ফাঁসির রায় আসে। তাদের মধ্যে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর করা হলেও মাজেদসহ ছয়জন পলাতক থাকেন।

দুই দশকেরও বেশি সময় ভারতের পালিয়ে থাকার পর গত সোমবার রাতে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাজেদ। তার দণ্ড কার্যকর করতে বুধবার ঢাকার জজ আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন।

মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করায় এখন যে কোনো দিন ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।

এদিকে ভোলার সব প্রবেশ পথ নজরদাড়িতে রাখা হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লা। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা যতটুকু জানি আজ কালের মধ্যেই ফাঁসির রায় কার্যকর হতে পারে। সেই জন্য এই খুনি মাজেদের লাশ যাতে কোনোভাবেই ভোলায় প্রবেশ করতে না পারে এর জন্য সব প্রবেশ পথ আমরা নজরদাড়িতে রেখেছি। কোনোভাবেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’