খুনের রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যকারী খুনিচক্র আজও রাজনৈতিক মদদপুষ্ট হয়ে সক্রিয়। শেখ জামালের জন্মদিনে আমাদের প্রত্যয় হবে খুন ও খুনের রাজনীতিকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় দেওয়া। এজন্য সবাইকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।'
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৬৭তম জন্মদিন উপলক্ষে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তথ্যমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘আজ শেখ জামালের ৬৭তম জন্মদিন। তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাঁর কবর জিয়ারত করছি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শেখ জামালকেও সেদিন হত্যা করা হয়।'
‘শেখ জামাল সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী অফিসার ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, সংস্কৃতিমনা ছিলেন, তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তাঁকে কেনো হত্যা করা হলো?' প্রশ্ন রেখে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই খুনের রাজনীতিকে চিরতরে বিদায় দিতে হবে।'
‘চলমান বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনাভাইরাসের থাবা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত থাকেনি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে তা মোকাবিলা করছেন, আজ সমগ্র বিশ্ব তাঁর প্রশংসা করছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা রাজনীতির সময় নয়, সবাই মিলে জনগণের পাশে দাঁড়াবার সময়।’
বিএনপির সমসাময়িক ভূমিকা বিষয়ে এ সময় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। ঢাকা শহরে ত্রাণের নামে ফটোসেশান আর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করাই তাদের কাজ। তাদের সেইপথ পরিহার করে সারা দেশে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বন জানাই।'
মন্ত্রী এ সময় শেখ জামালের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনায় অংশ নেন। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ দলীয় নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।