খুলনায় আরও ১০৯ জনের করোনা শনাক্ত, ফুলতলায় বিধিনিষেধ

Looks like you've blocked notifications!
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল। ছবি : সংগৃহীত

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ৩৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৮ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪০ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

খুলনা মেডিকেলের পিসিআর ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে খুলনা মহানগরী ও জেলার ১০৯ জন, বাগেরহাটের ২৪ জন, যশোরের ছয়জন, সাতক্ষীরার সাতজন ও নড়াইলের দুজন রয়েছেন।

এদিকে, খুলনা মহানগরীর তিন থানা এবং জেলার এক উপজেলায় দোকানপাট বন্ধ রাখার মেয়াদ গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তবে নতুন করে কোনো আদেশ আসেনি। অপরদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে জেলার পাইকগাছা উপজেলা সদর লকডাউন এবং ফুলতলা উপজেলায় আজ শুক্রবার থেকে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে খুলনা সদর থানা, সোনাডাঙ্গা ও খালিশপুর থানা এলাকায় গত ৪ জুন থেকে ১০ জুন পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল জেলা প্রশাসন।

ফুলতলায় করোনা সংক্রমণ রোধে উপজেলা প্রশাসন ও করোনা প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে আজ শুক্রবার থেকে আগামী সাত দিন উপজেলার বাজারগুলোতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সময় কাঁচামাল, মুদি দোকান, সেলুন, চায়ের দোকান, মোবাইল-ফ্লেক্সিলোডের দোকান সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। তবে কোনো অবস্থাতেই চারজনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না। এ ছাড়া মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও ইউএনও সাদিয়া আফরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন।

কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জেসমিন আরার পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুলী বিশ্বাস, ডা. তরিকুল ইসলাম, ওসি মো. মাহাতাব উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম, শরীফ মোহাম্মদ ভুইয়া শিপলু, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।