খুলনায় করোনার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে কমিটি

Looks like you've blocked notifications!

খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) করোনার সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, কমিটিতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলীকে প্রধান করা হয়েছে। এ ছাড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার, জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও খুমেক হাসপাতালের পরিচালকের একজন প্রতিনিধি রয়েছে।

বিভিন্ন সূত্রে জেলা প্রশাসনে অভিযোগ আসে, খুমেক হাসপাতালের একজন কর্মচারী টাকার বিনিময়ে নগরীর বিকে রায় ক্রস রোডের তানিয়া বেগমকে নমুনা আইডি কেএমসি-২০০২৩ ও পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার শামীম আহমেদকে নমুনা আইডি কেএমসি-১৯০৩১-এ নেগেটিভ সার্টিফিকেট দিয়েছেন। কিন্তু প্রকৃত নমুনা পরীক্ষায় তাঁরা দুজনই করোনা পজিটিভ।

এ ছাড়া কেএমসি-১৯০৩১ ও কেএমসি-২০০২৩ নমুনা আইডি নম্বর দুটিই ভুয়া। একই সঙ্গে সরকারি প্রণোদনার সুবিধা নিতে একজনের নমুনার রিপোর্ট অন্যজনের নামে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ আলী জানান, সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সবাই খুমেক হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে খুমেকের পিসিআর মেশিনে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু একটিমাত্র মেশিন থাকায় প্রতিদিন ২৯৮টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। ফলে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে সাত থেকে ১৫ দিন লেগে যায়। একইভাবে নমুনা সংগ্রহের জন্য খুমেক হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে প্রচণ্ড ভিড় থাকে। এ কারণে নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহীরা বিভিন্নভাবে নানা প্রতারণায় ফাঁদে পড়ছেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।