খুলনায় করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসককে রাতেই হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় প্রেরণ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদ আহমেদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে ঢাকায় পাঠানো হয় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজের ডা. মাসুদ আহমেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ডা. মাসুদের করোনাভাইরাসজনিত কেভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছিল।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী রেজা সেকেন্দার জানান, ডা. মাসুদ আহমেদসহ বেশ কয়েকজন চিকিৎসক রেস্ট হাউসে থাকতেন। তিনি অনেকটা কৌতুহলী হয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করান। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর রেস্ট হাউসে অবস্থানরত ১৪ চিকিৎসকসহ ৪৪ জনের করোনা পরীক্ষা হয়। ১৯ এপ্রিল গ্যাস্ট্রোলোজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রণজিৎ কুমার ও শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওমর খালেদ ফয়সালের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এই তিনজনকে খুলনা করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসেবে নির্দিষ্ট করা খুলনা ডায়াবেটিস হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এই তিনজন চিকিৎসকের একজন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে প্রাকটিস করতেন। স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরি নির্দেশনায় ডা. মাসুদ এ মাসের ১০ তারিখে ঢাকা থেকে খুলনায় আসেন এবং রেস্ট হাউসে অবস্থান নেন।
এদিকে খুলনা মেডিকেলের তিন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর খুলনা মেডিকেল কলেজের রেস্ট হাউসসহ কিছু অংশ লকডাউন এবং কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবদুল আহাদসহ ৪৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
করোনায় চিকিৎসাধীন দুই চিকিৎসককে আগেই সড়ক পথে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। গত বুধবার থেকেই ডা. মাসুদ আহমেদের উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স চাওয়া হয়। বৃহস্পতিবার জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভায় আলোচনার পর জেলা প্রশাসক ঊর্ধ্বতন মহলে দ্রুত হেলিকপ্টার পাঠানোর জন্য পত্র দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ডা. মাসুদকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।