খুলনায় ক্লিনিক সিলগালা, ভুয়া চিকিৎসকসহ আটক ১০

খুলনার গল্লামারী এলাকার একটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ব্যবসায় আড়ালে অবৈধ গর্ভপাত, শিশু পাচারে জড়িত অভিযোগে ভুয়া চিকিৎসকসহ ১০ জনকে আটক করেছে র্যাব-৬।
আসামিরা হলেন ক্লিনিকমালিক তুষার কান্তি মণ্ডল (৪৫), তার স্ত্রী বেবী চন্দন রায় (৩২), মো. সোহরাব হাওলাদার (৬৫), সোহরাবের মেয়ে তামান্না তমা (২৬), মো. মজুনুর রহমান খাঁন (৩৫), মো. মহিদুল ইসলাম (২৭), মো. শামীম হোসনে (১৮), মোছা. লাজলী খাতুন (৩০), মোছা. লাকী আক্তার (৪৮), মোছা. হোসনেআরা বেগম (৪৫)।
গতকাল শুক্রবার রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহায়তায় র্যাব ওই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়।
আজ শনিবার র্যাব-৬ সদর দপ্তরে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া সহকারী পরিচালক এএসপি মো. বজলুর রশিদ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানা যায়, এসব ক্লিনিকে অবৈধ গর্ভপাত, শিশু কেনাবেচা ও পাচার কাজ চলছিল। ক্লিনিকমালিক যিনি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে চিকিৎসক পরিচয়ে অপারেশন পর্যন্ত করেন। গতকাল রাতে এরকম একটি অবৈধ গর্ভপাত, অপারেশন এবং শিশু বিক্রির চক্রকে র্যাব টিম হাতে নাতে ধরে ফেলে। বিক্রির সময় এক নবজাতককে উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় ভুয়া চিকিৎসক ক্লিনিকের মালিক তুষার কান্তি মণ্ডল, তাঁর স্ত্রী বেবী চন্দন রায়সহ মোট ১০ জনকে আটক করে।
র্যাব সংবাদ সম্মেলনে আরও জানায়, ভুয়া চিকিৎসক সেজে মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসব কর্মকাণ্ড চলছিল। এই ঘটনায় মোট ১০ জনকে আসামি করে খুলনার লবণচরা থানায় মামলা করেছে।