খুলনায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ১০ অক্টোবর

Looks like you've blocked notifications!
খুলনার আদালতে হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। ছবি : এনটিভি

খুলনায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার জেলার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম আশিকুর রহমান এ দিন ধার্য করেন। 

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট কেএম ইকবাল হোসেন জানান, এ মামলায় মামুনুল হককে আদালতে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আগামী ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য করা হয়েছে। 

এর আগে খুলনা জেলা কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে মাওলানা মামুনুল হককে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আদালতে আনা হয়। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়ার সময়ও ছিল ব্যাপক নিরাপত্তা।

আইনজীবীরা জানান, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে অবমাননার প্রতিবাদে ইমাম পরিষদসহ ইসলামী কয়েকটি দল খুলনা নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে পুলিশ। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঘটনার দিন শিববাড়ী ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশী বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এ সময় বোমার আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানায় খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবীর মামলা করেন। 

মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় মামুনুল হকসহ অন্যরা সংগঠিত হন। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেনসহ মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।