খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৮ জনের মৃত্যু

Looks like you've blocked notifications!

খুলনায় এই প্রথম শনাক্তের হার প্রায় ৫৫ শতাংশ হলো।  গতকাল বৃহস্পতিবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। একই সময় খুলনায় তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট আটজন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে। আটজনেরই করোনা পজিটিভ ছিল। আরও একজন করোনার উপসর্গ নিয়ে  মারা গেছে।

 

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, বৃহস্পতিবার খুলনার মোট ৩২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে ১৭৬ জনের। শনাক্তের হার ৫৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। একই সময় খুলনা মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৮৬টি, যার মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৯৯ জনের। শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এরমধ্যে খুলনার ১৭৬, বাগেরহাটের ১৪, সাতক্ষীরার দুই, যশোরের ছয় ও গোপালগঞ্জের একজন রয়েছে।

খুলনা করোনা ডেডিকেট্ডে হাসপাতালে মোট ছয়জন মৃত্যুবরণ করেছে। এর মধ্যে পাঁচজনের করোনা পজিটিভ ছিল এবং একজন করোনার উপসর্গ নিয়ে এখানে চিকিৎসাধীন ছিল।

খুলনা সদর হাসপাতালে একই সময় একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

অপরদিকে, খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একই সময় করোনায় দুজন মৃত্যুবরণ করেছে। ডা. গাজী মিজানুর রহমান তা নিশ্চিত করেছেন।

খুলনা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সমন্বয়কারী ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইস প্রিন্সিপাল ডা. মেহেদী নেওয়াজ  বলেন, খুলনায় করোনা আক্রান্তের হার উচ্চ সংক্রমণশীল অবস্থায় আছে। যেটা আসলে খুব উদ্বেগজনক। এতে হাসপাতালে চাপ প্রচণ্ড বেড়েছে। গতবার থেকে এবারের ভ্যারিয়েন্টের আক্রমণটা অনেক গভীর এবং অত্যন্ত জটিল অবস্থা সৃষ্টি করছে। যার জন্য আক্রান্ত হয়েই রোগীরা হাসপাতালের দিকেই আসছে। আরও বেশি রোগী হয়তো বা আসতে পারে। কারণ এ ভ্যারিয়েন্টটা যেভাবে বিস্তার করেছে তাতে আমরা খুব আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছি। জুন-জুলাইতে যদি আরও ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করে এবং মৃত্যুর হার যদি আরও বেড়ে যেতে থাকে, আক্রান্তের জটিলতা যদি বেড়ে যায়, মহাপরিচালক স্বাস্থ্য স্যারকে আমার অবহিত করা এবং তিনি এবং তার টিম যদি খুলনায় সরেজমিনে এসে একবার পরিদর্শন করে যান, তাহলে এ জটিলতা আমি মনে করি নিরসন হবেই।