খুলনা বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মীর স্বেচ্ছায় কারাবরণের হুঁশিয়ারি

Looks like you've blocked notifications!
খুলনার কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। ছবি : এনটিভি

খুলনায় পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে বিএনপির পাঁচ হাজার নেতাকর্মী স্বেচ্ছায় কারাবরণ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

এ সময় নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল রাতে দায়ের হওয়া দুটি মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ‘গতকাল খুলনায় দলের মানবিক কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল। কারণ দেশবাসী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়, তাঁর সুচিকিৎসা নিশ্চিত হোক, এটা চায়। গতকাল কোনো বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে লাঠি বা অস্ত্র ছিল না। তার পরও পুলিশ লাঠি ও অস্ত্র জোগাড় করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’

পুলিশের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরও বলেন, আপনারা কাদের খুশি করতে চান। যাদের খুশি করতে চান, তারা আমাদের কাছে রাজনৈতিক শিশু। বিশেষ পরিবারের সদস্য হতে পারে। কিন্তু তারা রাজনৈতিকভাবে শিশু। আমরা এই রাজনৈতিক শিশুদের বিপক্ষে লড়াই করতে চাই না। আমরা গোটা আওয়ামী লীগকে প্রতিপক্ষ মনে করি। আমরা তাদের ময়দানে চাই। আমরা আশা করব, পুলিশ নিবৃত্ত হবে। তা না হলে খুলনা বিএনপি বাবুল গাজী হত্যা মামলা আদালতে তুলবে এবং প্রত্যেকটি ঘটনায় মামলা দায়ের করবে।

গতকাল সোমবার খুলনায় কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এবং আশপাশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকমীদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় সোমবার রাতে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ৩৫০ জনের নামে খুলনা সদর থানা পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সমাবেশে অংশ নেন খুলনা বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সেকেন্দার জাফর উল্লাহ খানা সাচ্চু, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।