খোলপেটুয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েক গ্রাম প্লাবিত

Looks like you've blocked notifications!
সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগরের খোলপেটুয়া নদীর একাধিক স্থানে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ। ছবি : এনটিভি

সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে জোয়ারের পানির প্রবল চাপে বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে আশাশুনির সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাটসহ তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনীর দুর্গাবাটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সেখানে পানি ঠেকানোর জন্য গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।

আশাশুনি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মুকুল বলেন, ২০২০ সালের ২০ মে আম্ফানের আঘাতে এ বাঁধটি ভাঙাচোরা অবস্থায় ছিল। কিছুটা সংস্কার করা হলেও তা তেমন কাজে আসেনি। আজ পানি ঢুকে পড়েছে দয়ারঘাট, আশাশুনি ও  প্রতাপনগর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি জায়গায়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন। এ মুহূর্তে ভাঙন রোধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউপির চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ‘খোলপেটুয়া নদীর ভাঙনে দুর্গাবাটি বেড়িবাঁধ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এই বাঁধটি সিডর ও আইলার পরও আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বারবার সংস্কার করা হলেও তা কার্যকরভাবে পানি ঠেকাতে পারছে না।’

ভবতোষ মন্ডল জানান, দুর্গাবাটিবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেখানে বাঁধ রক্ষার কাজ করছেন। জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি মেরামত না করা হলে পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সেখানে পৌঁছে কাজ করার কথা রয়েছে। তবে জোয়ারের চাপ না কমলে বাঁধ বাঁধা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ বাঁধার প্রস্তুতি চলছে।